নবজাতক শিশুদের জন্ম গ্রহণের পর থেকেই প্রায় সর্দির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সাধারণত এ সমস্যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মায়েদের কারণে হয়ে থাকে। আজ আমরা জানব নবজাতক শিশুর সর্দি হলে করণীয়। মায়ের ঠান্ডা কিংবা সর্দি লাগার কারণে নবজাতকের এই দেখা দেয় বেশি। শিশুর সর্দি হলে তা কোন ভাবেই অবহেলা করা যাবে না। অনেক সময় সাধারণ কোন কারণে সর্দি হলেও কিছু কিছু সময় সাংঘাতিক কারণে নবজাতক শিশুর সর্দি হয়ে যেতে পারে। সর্দি অতিসাধারন একটি রোগ মনে হলেও নবজাতক শিশুদের ক্ষেত্রে ওই অবস্থা খুবই কষ্টদায়ক একটি সমস্যা।
জন্মের পর নবজাতক শিশু সর্দি কারণে অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। এই অবস্থাতে নবজাতককে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। মনে রাখবেন শিশুর সর্দি বেশি হয়ে গেলে যেকোনো সময় তার ফুসফুসে কফ জমে যেতে পারে এমনকি সেখান থেকে শিশুর নিউমোনিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
নবজাতক শিশুদের নিউমোনিয়া হলে তাদের অনেক বেশি সমস্যা হয়ে থাকে বিশেষ করে শ্বাসকষ্ট হলে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশুদের একবার শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হয়ে গেলে তা অনেক বড় হওয়া পর্যন্ত থেকে যায়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
বাচ্চাদের সর্দি দূর করার উপায়
অনেক সময় গরমে বাচ্চারা সর্দি কিংবা জ্বরে ভোগে। অধিক ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়। সামান্যতম সর্দি হলে বাচ্চার নাক বন্ধ হয়ে যেতে দেখা যায়। বাচ্চাদের অনুনাসিক পথ খুব ছোট হওয়ার কারণেই মূলত এই সমস্যা হয়। নবজাতক শিশু সর্দিতে ভুগলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। শিশুদের নাকে বেশি শ্লেষ্মা জমে গেলে তাদের খাওয়া বা শ্বাস নেওয়াটাও অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই সমস্যা দেখা দিলে খুব দ্রুত বাচ্চাদের নাক বন্ধভাব খুলতে ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করতে পারেন।
সরিষার তেল প্রাপ্তবয়স্ক বা শিশু উভয়ের ক্ষেত্রেই ঠান্ডা ও নাক বন্ধের ঘরোয়া চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
সরিষার তেলে কয়েকটি লবঙ্গ, রসুন কুচি ও মেথির বীজ কিছুটা গরম করে নিতে পারেন। তারপর তেল ঠান্ডা করে নাকের আশপাশে, কপাল, গাল, বুক ও পিঠে আলতোভাবে মালিশ করে নিতে পারেন।
এছাড়াও বেশি সমস্যা দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।