সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতীদের করণীয়

সূর্যগ্রহণের সময় জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের ব্যাপারে দুই ধরনের কথা শুনা যায়। ১ শিশুটি অসুস্থ হবে এবং ২ শিশুটি চালাক হবে। তবে এই ২টি ধারণা বিশ্বাস করার মতো যুক্তি বা তথ্য কোথাও পাওয়া যায় নি। প্রাচীন অ্যাজটেক সভ্যতায়  মানুষ বিশ্বাস করতো, চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদের এক টুকরো খেয়ে ফেলা হয়। ম্যাক্সিকান সংস্কৃতিতে এটা বিশ্বাসে পরিণত হয়, গর্ভবতী মা সূর্যগ্রহণ দেখলে তার অনাগত সন্তানের এক টুকরো খেয়ে নেবে দেবতারা!

সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতীদের করণীয়


সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতীদের কাত হয়ে শুতে বারণ

সূর্যগ্রহণে গর্ভবতীদের শান্তি নেই। সেন্ট লুইসের মার্সি হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট শাফিয়া ভুট্টোর ভাষ্যমতে, সূর্যগ্রহণের সময় পাকিস্তানে গর্ভবতী মায়েদের জোরপূর্বক চিত করে শোয়ানো হতো। কারণ নাকি গর্ভের শিশু বিকলাঙ্গ হয়ে যায়! আমাদের দেশেও এ ধারণার বিশ্বাস রয়েছে। কিন্তু গর্ভে শিশুকে রেখে চিত হয়ে শোয়াটা গর্ভবতী মায়েদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য।

সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতীদের ধাতব অলংকার পরা, খাবার ও টয়লেটে বারণ

সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতীদের ধাতব অলংকার পরতে বারণ করা হয় ‘অ্যাস্ট্রোসেইজ’ নামে এক জ্যোতির্বিদ্যা সাইটে। অন্যদিকে ম্যাক্সিকান কুসংস্কারে, গ্রহণ চলাকালীন ধাতব অলংকার পরাকে উৎসাহিত করেছে। মেক্সিকোর গর্ভবতী মায়েরা সূর্য গ্রহণের সময় পেটের কাছে ধারালো ছুরি রাখতেন কারণ হলো গ্রহণের সময় সন্তানকে ঠোঁট কাটা রোগ থেকে বাঁচানো। আরো মানা হয়, সূর্যগ্রহণের ১২ ঘণ্টা এবং চন্দ্রগ্রহণের ৯ ঘণ্টা আগে থেকে খাবার খাওয়া বারণ। এই সময় যৌন সংসর্গ বারণ, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয় মলমূত্র ত্যাগেও। তবে এইসব ধারণার সুস্পষ্ট কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। 

সূর্য গ্রহণের সময় গর্ভবতীদের করণীয় 

সূর্য গ্রহণের সময় সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো যাবেনা। এটি অবশ্যই মানতে হবে। আসলে, যেকোনো সময়েই সূর্যের দিকে সরাসরি তাকানো ঠিক নয়। সে হোক সূর্য গ্রহণের সময়, কিংবা স্বাভাবিক সময়ে। অনেকেই সূর্যগ্রহণ দেখতে কাঁসার পাত্রে পানি থেকে শুরু করে ব্যবহার করছে কাজে লাগে না এমন এক্স-রে প্লেটও। এখন অবশ্য বিশেষ রোদচশমা দিয়েই সূর্যগ্রহণ দেখা সম্ভব। সূর্যগ্রহণ নিয়ে কোনো কুসংস্কারে পাত্তা না দেওয়াই ভালো।

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম