শিশুদের কৃমি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

দুই বছরের পর থেকে সকলের জন্য কৃমির ওষুধ খাওয়ার নিয়ম একই, অর্থাৎ আপনি যেটুকু ওষুধ খাবেন, আপনার আড়াই বছরের শিশুও একই পরিমাণ ওষুধ খাবে। তাই এ নিয়ে চিন্তার কোন কারণ নাই। বাড়ির সকল সদস্যের একসাথে কৃমির ওষুধ খাওয়া উচিত। এতে কৃমি থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। সুস্থ মানুষ কিংবা শিশুরা যদি ৪-৫ মাস পরপর কৃমির ওষুধ খায়, তাহলে কোনো ক্ষতি বা সমস্যা হয় না। আজকাল আপনি চাইলে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদেরও কৃমির ওষুধ খাওয়াতে পারবেন, কিন্তু তার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন।

শিশুদের কৃমি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম


শিশুদের কৃমি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম

শিশু সুতাকৃমি বাদে অন্য কৃমিতে আক্রান্ত হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট ১২ ঘণ্টা পরপর তিন দিন বা অ্যালবেনডাজল ৪০০ মিলিগ্রামের একটি ট্যাবলেট বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। 

সুতাকৃমি হলে মেবেনডাজল ১০০ মিলিগ্রামের বা অ্যালবেনডাজল ৪০ মিলিগ্রামের বা পিপেরাজিন ৪ গ্রামের একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। এর দুই সপ্তাহ পর আরো একটি ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে। শিশুদের কৃমির ওষুধ খাওয়ার জন্য শীত বা গ্রীষ্ম কোনো ব্যাপার নয়, যেকোনো সময়ই খাওয়াতে পারবেন। এতে শিশুর কোনো ক্ষতি বা সমস্যা হয় না। 

শিশুদের কৃমির লক্ষণ 

বিভিন্ন জাতের কৃমি আছে যেই গুলো শিশুদের শরীরে নানা রকম বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে থাকে। শিশুদের কৃমির লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে খাওয়ায় অরুচি, আয়রনের ঘাটতি এবং রক্তশূন্যতার কারণে দুর্বলতা, বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, অপুষ্টিতে ভোগা, পেট ফাঁপা ও ডায়রিয়া। কৃমির কারণে অ্যালার্জি, চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, কফ-কাশি হতে পারে।

শিশুদের এই লক্ষণ গুলো দেখা  দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম