শিশুর ঘন ঘন পায়খানা হলে করণীয়

সাধারণত শীতকালে রোগব্যাধি একটু কম হলেও গরমকালে  আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়ার সাথে সাথে  মানুষের শরীরে রোগ ব্যাধির হওয়ার পরিমাণও ততই বেশি দেখা দিতে থাকে। পরিপাকতন্ত্রের যখন ক্ষতিকর  ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে থাকে তখন ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। ভাইরাস রোটা এবং নোরো   সাধারণত ডায়রিয়াজনিত পাতলা পায়খানার জন্য দায়ী থাকে। 

ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানার কারণ
আমরা না জেনে কিংবা না ফুটিয়ে দূষিত পানি পান করে ফেলি যার ডায়রিয়া কিংবা পাতলা পায়খানা  হয়ে থাকে। ডায়রিয়াজনিত পানিবাহিত রোগ হবার কারণে এই রোগের জীবাণু পানির সাহায্যে মানবদেহে প্রবেশ করে আমাদের সংক্রমিত করে। বেশিরভাগ ক্ষেত্র দেখা যায় যে শহরে ট্যাংক কিংবা সাপ্লাইয়ের পানি পান করার ফলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি মানুষ। 

শিশুর ঘন ঘন পায়খানা হলে করণীয়

তাই বলে যে মানুষ শুধু দূষিত পানি পানের মাধ্যমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তা অবশ্য বলা ঠিক নয়। গরমকালে বাসি পচা খাবার বা বাহিরের হোটেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের কারণে ও ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বাইরের খাবার না খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

শিশুর ঘন ঘন পায়খানা হলে করণীয়

কেবলমাত্র মায়ের দুধ পান করে এমন শিশুরা প্রায় সময় দিনে ৫ থেকে ১০ বার পর্যন্ত পায়খানা করতে পারে। সেক্ষেত্রে এটাকে ডায়রিয়া বলা ঠিক হবে না। যদি দেখেন শিশুর শারীরিক পরিস্থিতির স্বাভাবিক আছে অর্থাৎ সে হাসাহাসি বা খেলাধুলা করে তাহলে এর জন্য ভয়ের কোন কারণ নেই।

কিন্তু যদি দেখেন শিশুর চোখ বসে গেছে বা মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে আপনকে বুঝে নিতে হবে যে শিশুর শরীরে পানি স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। তখন তাকে বুকের দুধ পান করানোর পাশাপাশি বেশি বেশি খাবার স্যালাইনও পান করাতে হবে। সেক্ষেত্রে সে যদি খাবার স্যালাইন খেতে না চায় তবে তাকে পানি পান করাতে হবে কিংবা যা সে খেতে পারে তাই খাওয়ান। 
শিশুদের যে কোন ওষুধ খাওনোর পূর্বে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

ডায়রিয়ার লক্ষণ গুলি

ডায়রিয়ার প্রধান কারণ হলো ঘন ঘন পাতলা পায়খানা। যদি দেখেন ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হচ্ছে  এর সঙ্গে কিছু কিছু সময় রক্ত কিংবা পিচ্ছিল এক ধরনের পদার্থ যেতে পারে। এর সাথে যদি প্রচুর বিষ ক্রিয়া হয়ে থাকে তবে বমি ভাবও দেখা দিতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম