অটিস্টিক শিশু চেনার উপায়

এপ্রিলের ২ তারিখ সারাবিশ্বে অটিস্টিক সচেতনতা দিবস পালন করা হয়, এটি প্রতিবছরই হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ‘সেন্টার টু ডিজিস কন্ট্রোল’ এর মতে, ১৯৭০ সালে প্রতি ১০ হাজার শিশুর মধ্যে একজন শিশু অটিস্টিক বা অটিজমে আক্রান্ত হত, যা বর্তমানে প্রতি ৫০ জনের মধ্যে একজন শিশুর হয়।

সাধারণত মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলে শিশুদের  এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় চার গুণ বেশি থাকে। প্রতি ৫৪ জন ছেলে শিশুর মধ্যে ১জন ছেলে শিশু অটিস্টিক হয়, এবং ২৫২ জন মেয়েশিশুর মধ্যে একজন মেয়ে শিশু অটিস্টিক হয়ে থাকে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল ক্লাসিফিকেশন অব ডিজিজেস (আইসিডি ১০) এবং আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন রোগ শনাক্তকরণের পদ্ধতিতে (ডিএসএম ৪) এই রোগকে বিকাশজনিত সমস্যা হিসেবে ধরা হয়েছে।  

অটিস্টিক শিশু চেনার উপায়


অটিস্টিক শিশু চেনার উপায়

অটিস্টিক শিশুদের লক্ষণগুলো একদম ছোট বেলা থেকেই প্রকাশ পাওয়া শুরু করে। মা-বাবা একটু খেয়াল করলেই তা সহজেই বুঝতে পারেন। স্বাভাবিক একজন শিশু ১ বছর বয়সেই অর্থবহ অঙ্গভঙ্গি দেখাতে বা করতে পারে, ১৬ মাস বয়স থেকে একটি শিশু শব্দ বলতে পারে এবং ২ বছর বয়সে ২ শব্দের বাক্য উচ্চারণ করতে পারে কিন্তু অটিস্টিক শিশু এ সব আচরণ দেখাতে পারে না।

এই রোগে আক্রান্ত শিশুরা কারো সাথেই, সে হোক সমবয়সী কিংবা অন্য কোনো বয়সী কারো সাথে সামাজিক সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে না। কিছু কিছু শিশু আবার ১ থেকে ২ বছর বয়স পর্যন্ত সবকিছু  ঠিকঠাক থাকে কিন্তু হঠাৎ করে সে কথা ও সবার সাথে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ করে দিতে দেখায় যায়। এটাকে রিগ্রেসিভ অটিজম বলে।

সাধারণত শিশুদের নাম ধরে ডাকলে সাড়া দেয়, কিন্তু অটিস্টিক শিশুদের নাম ধরে ডাকলেও সাড়া দিতে দেখা যায় না। এই ধরণের শিশু নিজের মত থাকতে বেশি সাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এরা কিন্তু কারো চোখের দিকেও তাকায় না। কারো দিকে তাকিয়ে তেমন হাসেও না কিংবা আদর করতে চাইলেও ততটা সাড়া দিতে চায় না।

অটিস্টিক শিশুরা একই কথা বারবার বলতে এবং একই কাজ বারবার করতে বেশি পছন্দ করে।

অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসা

অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসায় ওষুধ বেশি একটা ব্যবহার করা হয় না। শিশুর কথা বলতে অসুবিধা হলে তাকে স্পিচ থেরাপি দেওয়া হয়। সাধারণ ভাবে চলা ফেরা করার জন্য কিছু ব্যায়াম শেখানো হয়। যদি শিশুর আচরণ আক্রমনাত্মক হয় বা খিচুনি থাকে তবেই ওষুধ ব্যবহার করা হয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম