বাচ্চাদের মুখে ঘা এর ঔষধ

বাচ্চাদের মুখের ভেতরে, গালের মাংসপেশিতে, জিহ্বার এক পাশে বা জিহ্বায় একধরনের ঘা হয়ে থাকে। যাকে অ্যাপথাস আলসার বলা হয়। ছোট গোলাকার অংশে সাদাটে হয়ে যায়। আর সাদা অংশটার মধ্যে পুঁজ জমে থাকতেও দেখা যায়। এইসবের মাধ্যমে বাচ্চাদের মুখের মধ্যে আলসার হতে পারে।  

এছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি কারণে বাচ্চাদের মুখের মধ্যে আলসার বা ঘা হতে পারে। যেমন- আঘাত পেলে, ভিটামিন বা খনিজ পদার্থের অভাব দেখা দিলে ইত্যাদি। যদিও বাচ্চাদের মুখের আলসার সংক্রামক হয় না। তবে কিছু পরামর্শ মানলেই ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রতিকার পাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে  নেই  বাচ্চদের মুখের ঘা এর ঔষধ বা ঘরোয়া উপায়।

বাচ্চাদের মুখে ঘা এর ঔষধ


বাচ্চাদের মুখে ঘা এর ঔষধ

নারকেল দুধ দিয়ে গার্গল করলে বাচ্চাদের মুখের ঘা এর ব্যথা বা জ্বলুনিভাব কমবে। এ ছাড়াও ক্ষত জায়গায় নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। ৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের মুখের দূষিত ক্ষত এর চিকিৎসা হিসেবে নারকেল তেল অনেক উপকারী।

মধু বাচ্চাদের মুখের জীবাণু দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এজন্য ১ থেকে ৩ বছর বয়সী বাচ্চাদের মুখে ঘা হলে মধু ব্যবহার করতে পারেন, যা সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকরী ঔষধ।

বাচ্চাদের মুখের আলসারের চিকিৎসা হিসেবে হলুদ ব্যবহার করা যায়। এতে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকে। যা বাচ্চাদের সব ধরনের ক্ষত নিরাময় করতে সক্ষম।

দই দিয়েও বাচ্চাদের মুখের ঘা নিরাময় করা সম্ভব। দইয়ে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, যা বাচ্চাদের ক্ষত স্থানে ব্যাকটেরিয়া দূর করে।

ঘি বাচ্চাদের মুখের ঘা সারাতে অনেক ভালো কাজ করে থাকে। বাচ্চাদের মুখের ঘা সারাতে আক্রান্ত স্থানে দিনে অন্তত ৩বার ঘি ব্যবহার করতে পারেন। ঘি দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে এবং ব্যথা দূর করে।

বাচ্চাদের মুখে যদি কয়েকদিন পরপরই ঘা হয়। তাহলে বাচ্চাদের পোস্ত দানা ও নারকেলের ক্যান্ডি খেতে দিতে পারেন। মিছরির গুঁড়া, পোস্ত দানা ও কোড়া নারকেল ব্লেন্ড করে বড়ি বানিয়ে বাচ্চাকে চুষতে দিন। বাচ্চাদের শরীরের তাপ বাড়ার কারণে যদি আলসার বা মুখে হয়ে থাকে। তবে এটি হলো প্রতিরোধ করার ঘরোয়া উপায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post

যোগাযোগ ফর্ম